
এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন মনোবিদ ডুরু এরডেম। সামাজিক উদ্বেগ একটি চ্যালেঞ্জ যা বেশিরভাগ লোকেরা তাদের জীবনের কোন না কোন সময়ে অনুভব করে, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে। এর মধ্যে রয়েছে লোকেরা কীভাবে আমাদের দেখে তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ, যার কারণে ভিড়ের সামনে কথা বলার সময় আমাদের ঘাম হয়, আমাদের হাত কাঁপে এবং প্রায়শই বয়ঃসন্ধিকালে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বয়ঃসন্ধিকাল এমন একটি সময় যখন, একদিকে, পরিচয়ের সন্ধান হয়, এবং অন্যদিকে, সামাজিক সম্পর্কের বিষয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়। প্রেজেন্টেশন দেওয়া, ক্লাসে উত্তর দেওয়া বা নতুন বন্ধু বানানোর মতো পরিস্থিতি কিশোরদের জন্য কষ্টকর হতে পারে। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কিশোর-কিশোরীরা তাদের সামাজিক দক্ষতা উন্নত করার চেষ্টা করে, তবে এটি সামাজিক উদ্বেগের লক্ষণগুলিও ট্রিগার করতে পারে।
সামাজিক উদ্বেগের উত্স প্রায়শই জেনেটিক কারণগুলির সাথে শুরু হয়। পরিবারে উদ্বেগের প্রবণ ব্যক্তিদের উপস্থিতি এবং ব্যক্তির মেজাজের মতো কারণগুলি এই পরিস্থিতির পূর্বসূরি হতে পারে। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে, সমবয়সীদের চাপ এবং সামাজিক প্রত্যাশাও এই অবস্থাকে উসকে দিতে পারে। এটি কিশোর-কিশোরীদের জন্য সামাজিক দক্ষতা বিকাশ করা কঠিন করে তুলতে পারে কারণ তারা তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় নেতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করার ভয়ের সাথে মোকাবিলা করার চেষ্টা করে।
সামাজিক উদ্বেগ কিশোরদের স্কুলের কর্মক্ষমতা, সামাজিক সম্পর্ক এবং জীবনের সামগ্রিক মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই নেতিবাচক প্রভাব উভয়ই তাদের বিকাশ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে এবং প্রাপ্তবয়স্কতায় তাত্পর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে, এই অবস্থা কর্মজীবনে অসুবিধা এবং আরও জটিল সামাজিক সম্পর্কের সৃষ্টি করে।
মনোবিজ্ঞানী দুরু এরডেম বলেন, “জীবন হল সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় পূর্ণ একটি যাত্রা। এই যাত্রায় তরুণদের সমর্থন করা এবং বোঝার ফলে পরিস্থিতি অনেকটাই উপশম হবে। যদি একজন যুবকের মধ্যে সামাজিক উদ্বেগের লক্ষণগুলি পরিলক্ষিত হয়, তবে এই পরিস্থিতি বোঝার এবং সমর্থন করার জন্য পরিবার এবং শিক্ষাবিদদের একটি সংবেদনশীল মনোভাব থাকা গুরুত্বপূর্ণ। "তরুণদের মানসিক জগত বোঝা এবং এই প্রক্রিয়ায় একটি নিরাপদ পরিবেশ প্রদান তাদের সাহায্য করার ভিত্তি হতে পারে।" বলেছেন