
ভারতীয় সংস্থা ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF) প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের ছবি শেয়ার করেছে, যা এই মাসে রেলে আঘাত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ট্রেনটি এই মাসের শেষের দিকে রেলে স্থাপন করা হবে এবং জনসাধারণের কাছ থেকে ব্যাপক আগ্রহের সাথে দেখা হবে৷
বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের গঠন ও বৈশিষ্ট্য
নতুন স্লিপার ট্রেন মডেলটিতে 11টি ক্যারেজ রয়েছে, যার মধ্যে 16টিতে তিন স্তর বিশিষ্ট বিছানা রয়েছে। আরও আরামের জন্য চারটি দুই-ডেক ওয়াগন এবং একটি একক-ডেক ঘুমের গাড়ি রয়েছে। ট্রেনটির যাত্রী ধারণক্ষমতা মোট 823 জনের কাছে পৌঁছায়, এটি সারা ভারত জুড়ে রাতারাতি দূরপাল্লার যাত্রার জন্য আদর্শ করে তোলে।
পরীক্ষার পর্যায়ে ট্রেনটি 180 কিমি/ঘন্টা গতিতে পৌঁছাতে পারে এবং এর পরিচালন গতি 160 কিমি/ঘন্টা হিসাবে নির্ধারিত হয়। এই গতি বৃদ্ধির ফলে ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে এবং দূরপাল্লার যাত্রা যাত্রীদের জন্য আরও দক্ষ ও আরামদায়ক হবে।
প্রকল্পের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত
বন্দে ভারত প্রকল্পের নেতা সুধাংশু মানি শীঘ্রই রাতের ট্রেন চালু করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক সেপ্টেম্বরের শুরুতে স্লিপার ট্রেনের প্রথম প্রোটোটাইপের উপস্থাপনার সাথে ঘটেছিল, প্রকল্পের উন্নয়নে অগ্রগতি প্রদর্শন করে।
ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিশ্চিত করেছেন যে এই ট্রেনগুলির ব্যাপক উত্পাদন প্রায় দেড় বছরের মধ্যে শুরু হবে এবং প্রতি মাসে দুই থেকে তিনটি নতুন ট্রেন পরিষেবাতে রাখা হবে। এই প্রক্রিয়াটির লক্ষ্য ভারতের রেল নেটওয়ার্কে যাত্রীদের গতিশীলতা বৃদ্ধি করা এবং সামগ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উন্নত করা।
পরিবহন পরিকাঠামো উদ্ভাবনী পদক্ষেপ
বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটি রাতের ভ্রমণের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি প্রদান করে ভারতের পরিবহন পরিকাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর উদ্ভাবনী নকশা এবং বৃহৎ ক্ষমতা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ভ্রমণকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
মন্ত্রী বৈষ্ণব বলেছেন যে ভারত এই ট্রেনগুলির প্রবর্তন ত্বরান্বিত করার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা করছে। এই দ্রুত উন্নয়ন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়াটি তার রেল ব্যবস্থাকে আপগ্রেড করার এবং যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্যে ভারতের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
ফল
বন্দে ভারত প্রকল্প তার উদ্ভাবন এবং ট্রেন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কারণে অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করছে। আগামী মাসে আরও নতুন ট্রেন চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভারতের বিভিন্ন অংশের মধ্যে পরিবহন সংযোগকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে। ফলস্বরূপ, ভারত আরও আধুনিক এবং আরামদায়ক পরিবহন পরিকাঠামো তৈরির দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে৷