
দক্ষিণ কোরিয়া কম জন্মহারের সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজছে, যা তারা বহু বছর ধরে মোকাবেলা করে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে, দেশটি গ্রেট ট্রেন এক্সপ্রেস (GTX) নামক বিশাল ভূগর্ভস্থ ট্রেন প্রকল্পের উপর উচ্চ আশা পোষণ করছে, যা রাজধানী সিউল এবং আশেপাশের এলাকার মধ্যে পরিবহনকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করবে। প্রায় ৯৯.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যে রাজধানী এবং এর আশেপাশের এলাকার মধ্যে একটি দ্রুত এবং আরামদায়ক পরিবহন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা।
GTX ব্যবহার করে সময় বাঁচান, পরিবারের জন্য আরও সময় দিন
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওল জিটিএক্স প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রথম লাইনের জন্য ধন্যবাদ, সিউলের সুসেও জেলা থেকে ডংটান পর্যন্ত যাত্রা, যা সাধারণত ৮০ মিনিট সময় নেয়, এখন মাত্র ১৯ মিনিটে সম্পন্ন করা যাবে। রাষ্ট্রপতি ইউন জোর দিয়ে বলেন যে এই প্রকল্পটি কর্মজীবী পরিবারগুলিকে সকাল এবং সন্ধ্যায় আরও মূল্যবান সময় ব্যয় করার সুযোগ প্রদান করবে। ভূমিমন্ত্রী পার্ক সাং-উ আরও বলেন যে GTX-এর লক্ষ্য হল কর্মক্ষেত্র এবং বাড়ির মধ্যে পরিবহনের সময় কমিয়ে ব্যক্তিদের জন্য আরও বেশি অবসর সময় তৈরি করা।
বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে "নগরায়ন" সতর্কতা
তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ এই বিশাল প্রকল্পের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। উদ্বেগ রয়েছে যে GTX রাজধানীতে আরও বেশি লোককে আকৃষ্ট করতে পারে, যার ফলে গ্রামীণ এলাকা আরও পিছিয়ে যাবে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বলেছে যে উচ্চ আবাসন মূল্য এবং দীর্ঘ পরিবহন দূরত্ব, বিশেষ করে সিউলে, তরুণদের বিয়ে এবং সন্তান ধারণের সিদ্ধান্তের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আশা করা হচ্ছে যে GTX প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবহনের সহজতা তরুণদের শহরের বাইরে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে বাড়ি তৈরি করতে উৎসাহিত করবে, যা অবশেষে নিম্ন জন্মহার বৃদ্ধি করতে পারে। তবে, জন্মহারের উপর এই বৃহৎ বিনিয়োগের প্রকৃত প্রভাব সময়ের সাথে সাথে স্পষ্ট হয়ে উঠবে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটি কম জন্মহারের বিরুদ্ধে লড়াই কতটা ব্যাপক এবং বৈচিত্র্যময় হতে পারে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।