
চীন থেকে ইরান হয়ে ইউরোপে কন্টেইনার পরিবহন প্রকল্পটি এই রুটের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কাছ থেকে জোরালো সমর্থন পেয়েছে। ১২ মে ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীন, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, ইরান এবং তুর্কিয়ের ঊর্ধ্বতন রেলওয়ে কর্মকর্তারা এই নতুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রুটের একীভূত পরিবহন পরিস্থিতির বিষয়ে একমত হন। চীন রেলওয়ের উপ-মহাপরিচালক সান শিউড এবং ইরান রেলওয়ে প্রশাসনের চেয়ারম্যান জব্বার আলী জাকেরির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ডেলিভারি সময় ৪০ দিন হিসেবে সেট করা হয়েছে
আলোচনার ফলস্বরূপ, পক্ষগুলি চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র চেংডু এবং পোল্যান্ডের শিল্প নগরী লোডোর মধ্যে কন্টেইনার সরবরাহের সময় 40 দিন নিশ্চিত করেছে। বিদ্যমান সমুদ্র এবং অন্যান্য রেল রুটের তুলনায় এই সময়কালকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক সময়সীমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি এই রুটটিকে আন্তর্জাতিক লজিস্টিক কোম্পানিগুলির জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প করে তুলতে পারে।
ইউনিফাইড ট্যারিফ এবং লজিস্টিক সাপোর্টের উপর জোর দেওয়া
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা একটি স্থিতিশীল এবং স্বচ্ছ শুল্ক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্বের উপর জোর দেন। তারা আরও ব্যক্ত করেছেন যে তারা বিশ্বব্যাপী লজিস্টিক বাজারে এই নতুন রুটকে যৌথভাবে প্রচারে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় রুটের চাহিদা ক্রমবর্ধমান হওয়ায়, এই করিডোরটিকে পরিবহনকারী এবং অপারেটরদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে যৌথ পদক্ষেপের সমন্বয় সাধনের বিষয়েও সম্মত হয়েছে।
ইউরেশিয়ান পরিবহন সহযোগিতা জোরদার হচ্ছে
এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির লক্ষ্য এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে ট্রানজিট সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা। নতুন করিডোরটি বাস্তবায়নের ফলে, বিদ্যমান উত্তরাঞ্চলীয় রুটের উপর লজিস্টিক চাপ হ্রাস পাবে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীকরণ উৎসাহিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সকল দেশ এই নতুন বাণিজ্য করিডোরকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যার মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সীমান্ত পারাপারের পদ্ধতি ত্বরান্বিত করা অন্তর্ভুক্ত। ইউরেশিয়ান অঞ্চলে পরিবহন সহযোগিতা জোরদার এবং বাণিজ্য সহজতর করার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।